টাইফয়েড হলে শনাক্ত করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে গুরুতর জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
- एलर्जी होने पर न करें इन चीजों का सेवन, बढ़ सकती है खुजली-जलन की समस्या
- पेट में इंफेक्शन होने पर क्या खाएं और किन चीजों से करें परहेज, जान लीजिए ये जरूरी बातें
- क्या थायराइड में दूध पीना चाहिए? जानें एक्सपर्ट की राय
- लूज मोशन को तुरंत कैसे रोकें? देखें, लूज मोशन के घरेलू उपाय
- बालों की पतलेपन से परेशान हैं? तो ये घरेलू उपाय जरूर आजमाएं
টাইফয়েড সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত।
Bạn đang xem: টাইফয়েড কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণ ও চিকিৎসা কী
টাইফয়েড কী
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, টাইফয়েড এক ধরনের জ্বর যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে টাইফয়েড হতে পারে। যেমন- সালমোনেলো টাইফি এবং সালমোনেলো প্যারাটাইফি। দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণের লক্ষণ প্রায় একই রকমের।
সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে যে জ্বর হয় তাকেই টাইফয়েড জ্বর বলা হয়। আর সালমোনেলা প্যারাটাইফি জীবাণুর কারণে জ্বর হলে তাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর বলে।
টাইফয়েড কীভাবে ছড়ায়
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে। যদি কোনো খাবার ও পানির মধ্যে টাইফয়েডের জীবাণু থাকে তাহলে সেই খাবার খেলে ও পানি পান করলে খাওয়ার মধ্য দিয়ে টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে।
টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর পায়খানা এবং প্রস্রাবের মাধ্যমেও টাইফয়েডের জীবাণু শরীর থেকে বের হয়। কোনো কারণে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অথবা ওয়াটার স্যানেটারি সিস্টেমে ত্রুটির কারণে যদি টাইফয়েডের জীবাণু সেখানে মিশে যায় তাহলে টাইফয়েড ছড়িয়ে পড়তে পারে।
টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী পায়খানা ও প্রস্রাবের পর ভালো করে হাত পরিষ্কার না করলে জীবাণু থেকে যেতে পারে। তার হাতের স্পর্শ বা খাবারের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিরাও সংক্রমিত হতে পারেন।
টাইফয়েডের লক্ষণ
টাইফয়েড জ্বরের প্রধান কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন-
১. টাইফয়েড জ্বরের একটা নির্দিষ্ট ধরন আছে। জ্বর যখন প্রথম আসে এরপর ছেড়ে যায় না, ক্রমশ আস্তে আস্তে জ্বরের তীব্রতা বাড়তে থাকে। যত দিন যায় জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকে। ১০০ ডিগ্রি থেকে জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশিও হতে পারে।
Xem thêm : Addressing Right Side Neck and Shoulder Pain: Causes and Solutions
২. পেটে ব্যথা হয়।
৩. মাথা ব্যথা হয়।
৪. ডায়রিয়া হয়। আবার কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৫. দুর্বল ও ক্লান্তি লাগে।
টাইফয়েড জ্বর থেকে শারীরিক আরও কিছু জটিলতাও হতে পারে। যেমন- মস্তিস্কে প্রদাহ, নিউমোনিয়া, হেপাটাইটিস, লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টাইফয়েড জ্বর শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গকে আক্রান্ত করতে পারে।
টাইফয়েডের চিকিৎসা যদি ঠিকমতো না করা হয় এটি রোগীর জন্য হুমকি, এমনকি জীবননাশের কারণও হতে পারে বলে জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
টাইফয়েডের চিকিৎসা
রক্তে যখন টাইফয়েডের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে তখন জ্বর হয়। সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমে রোগীর রক্ত কালচার করে জীবাণুর উপস্থিতি আছে কি না এবং কোন জীবাণু সেটি দেখতে হবে।
কোনো কোনো সময় পায়খানা ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমেও জীবাণু শনাক্ত করা যায়। তবে এক্ষেত্রে তা দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পজিটিভ হয়। সেজন্য টাইফয়েড শনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার করে নেওয়া ভালো।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, চিকিৎসা হিসেবে টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীকে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক দিলে রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে এই অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রে টাইফয়েডের জীবাণুর অনেক রেজিস্ট্যান্স ভ্যারাইটি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো আগে কাজ করত সেই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক অনেক ক্ষেত্রে এখন টাইফয়েডের জীবাণুর বিরুদ্ধে আর কাজ করছে না।
তারপরও রোগীর ব্লাড কালচার দেখে সেই অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ৫ থেকে ৭ দিন পর জ্বর কমতে শুরু করে। রোগীর অবস্থা বুঝে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
টাইফয়েড প্রতিরোধে করণীয়
Xem thêm : योनि को टाइट करने के घरेलू उपचार, आसान उपाय और एक्सरसाइज
১. পানির মাধ্যমেই টাইফয়েড ছড়ায়। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে।
২. টাইফয়েড প্রতিরোধে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। পায়খানা-প্রস্রাবের পর ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৩. খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৪. থালাবাসনসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার পানিতে ধুতে হবে।
৫. খাবার সঠিকভাবে রান্না করতে হবে। খাবার ভালোভাবে গরম করে খেতে হবে।
৬. কাঁচা দুধ এবং কাঁচা দুধের তৈরি খাবার পরিহার করতে হবে।
৭. আইসক্রিম, বরফ বা বরফ দেওয়া শরবতসহ বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার সময় সর্তক থাকতে হবে, সেটি বিশুদ্ধ পানির কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
৮. ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৯. বসতবাড়ি বা এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় যেন কোনো ধরনের ত্রুটি না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। পানির লাইনের সঙ্গে জীবাণু কোনোভাবে মিশে গেলে টাইফয়েডের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১০. টাইফয়েড প্রতিরোধে প্রয়োজনে ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। ইনজেকশন এবং মুখে খাওয়ার ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদ পরপর আবার ভ্যাকসিন নিতে হবে, একবার নিলে সারা জীবন সুরক্ষা দেবে এমনটা নয়।
১১. টাইফয়েড জ্বর হলে অনেকেই ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খান। এটি ঠিক নয়, বরং রোগের জটিলতা বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে নির্দিষ্ট মাত্রার নির্দিষ্ট ওষুধ খেতে হবে। এতে রোগী যেমন সুস্থ হবে, অন্যদিকে তার মাধ্যমে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। জ্বরের কারণে শরীরে পানি কমে যায়, অনেকের ডায়রিয়া হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। শরবত, স্যালাইন, ফলের রস, দুধ, ডিম পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
Nguồn: https://collagenmidi.com
Danh mục: चिकित्सा
This post was last modified on November 18, 2024 1:03 pm